প্রকাশিত: ২৫/১১/২০১৭ ৬:৪৮ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১০:৩৪ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
রাখাইনে জাতিগত নিধনযজ্ঞের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা বাচ্চাদের দেওয়া হচ্ছে গরুর বাছুরকে খাওয়ানোর দুধ। আর সেই দুধ বিক্রি হচ্ছে বাজারে। কক্সবাজারের উখিয়ার কোর্টবাজারে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে অনেকে এসব ত্রাণ কম দামে কিনে নিচ্ছে। এরপর কোর্টবাজারে বেশি দামে এসব ত্রাণ বিক্রি করছে বাঙ্গালীরা। আর এই দুধের প্যাকেট বাচ্চাদের খাওয়াতে কিনে নিচ্ছে সাধারণ মানুষজন।

আর এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এনজিওকর্মী বলেন, গরু ছাগলের বাচুরকে খাওয়ানোর দুধ ত্রাণ হিসেবে রোহিঙ্গাদের দেওয়া হয়েছিল! কি আশ্চর্য! রোহিঙ্গাদের সেই দুধ বিক্রি হচ্ছে কোর্টবাজারে! আর মানুষ এই দুধের প্যাকেট কিনছে তাদের বাচ্চাদের খাওয়াতে! সমাজের এই কি অধঃপতন!

কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঐ এনজিওকর্মী বলেন, পশুর বাচ্চার জন্য প্রস্তুতকৃত দুধ কারা রোহিঙ্গাদের দিল? রোহিঙ্গাদের দেওয়া ত্রাণেরর মান নিয়ন্ত্রণ করছে কারা? নাকি আদৌ তদারককারী বলতে কেউ নেই? কর্তৃপক্ষ নামক কোন কিছুর অস্তিত্ব থেকেই থাকলে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি..

স্থানীয়রা জানান, রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি ঘরে জায়গা নেই, ঘর ভর্তি ত্রাণ। তাই এসব ত্রাণ বিক্রি করে দিচ্ছে রোহিঙ্গারা। প্রতিদিন রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিক্রির ফলে স্থানীয়রা কম দামে নিত্যপণ্য পাচ্ছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক ব্যবসা বেড়েছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ এসব ত্রাণ গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিক্রি করছে।

এ ব্যাপারে রোহিঙ্গারা বলেন, ১২টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে প্রতিদিনই লাখ টাকার ত্রাণ ও অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ক্যাম্পেই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ। এসব ক্যাম্পে ত্রাণের কারণে ঘুমানোর মতো জায়গাও নেই। এমনকি হাতে টাকা পয়সা নেই, তাই অতিরিক্ত ত্রাণ রেখে লাভ কি? তাই ত্রাণগুলো বিক্রি করে দিচ্ছি।

এ বিষয়ে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোজাফফর আহমেদ জানান, রোহিঙ্গাদের মধ্যে বণ্টন করা ত্রাণ তারা খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। যেটি সত্যি অমানবিক। আমাদের সচেতন হতে হবে যাতে রোহিঙ্গারা এ সব কাজ করতে না পারে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগদ টাকার জন্য দেশি-বিদেশি সাহায্য সংস্থা, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দেয়া বিভিন্ন ধরনের ত্রাণসামগ্রী বিক্রি করে দিচ্ছে রোহিঙ্গারা। বাজারে থাকা দামের চেয়ে অর্ধেক দামে এসব সামগ্রী বিক্রি করছে। আর অল্পমূল্যে কেনা এসব ত্রাণসামগ্রী কিনে বেশি দামে বিক্রি করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

প্রসঙ্গত, ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে বর্বরতা নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হয়ে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তৎমধ্যে মহিলা, যুবতি ও শিশুর সংখ্যা বেশি। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এক জরিপে জানায়, উখিয়ার ৬টি অস্থায়ী এবং টেকনাফের ৫টি ক্যাম্পে নতুন পুরাতন প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। সুত্র: বিডি মর্নিং

পাঠকের মতামত

নাইক্ষ‍্যংছড়ির গহিন অরণ্যে অভিযান, ৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার

বান্দরবানের নাইক্ষ‍্যংছড়ির গহিন অরণ্যে দুর্বৃত্তদের আস্তানায় হানা দিয়ে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ...

মা ও মেয়ের একসঙ্গে এসএসসি পাস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২, ৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য নুরুন্নাহার বেগম ৪৪ ...